আজ অবধি বিশ্ব জুড়ে কত সিনেমা তৈরি
হয়েছে আমার জানা নেই। কেউ সে হিসেব রেখে থাকলে তা নিশ্চয়ই লক্ষ কোটির সংখ্যা ছুঁয়ে
ফেলেছে। নানা দেশে নানা সময় নানান চলচ্চিত্রকার হরেক রকমের চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন
এবং আজও করে চলেছেন। আগামী
দিনেও, যত দিন এই পৃথিবীর বুকে মানুষ থাকবে ততদিন চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ হবে না।
মানুষের ইতিহাসের সঙ্গে এই বিপুল চলচ্চিত্র ভাণ্ডার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। যার
থেকে আর আমাদের নিস্তার নেই।
প্রশ্ন হল
চলচ্চিত্রের এই বিপুল ভাণ্ডার মানুষের কোন কাজে লাগবে। আজ যদি কেউ এই ভাণ্ডারের
দরজা খুলে উঁকি দিতে চেষ্টা করে তবে নিশ্চয়ই সে সমস্ত চলচ্চিত্রের হদিশ পাবে না।
অনেক ছবিই আজ কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়া ছবির নাম ধামও সবটা খুঁজে
পাওয়া যাবে না। তবে যা পাওয়া যাবে, যা আজও আমাদের হদিশের মধ্যে পাওয়া যায় তা নিয়ে সিনেমার
ইতিহাসের মোটা মটা বই লেখা হয়ে গেছে। সে সব বই অনেকেরই পড়া। আমি তাই আরও একটি
সিনেমার ইতিহাস নিয়ে প্রবন্ধ লিখতে চাই না। আমার সে কাজও নয়। আমার কাজ ছবি বানানো।
ছবি যারা বানায় আর ছবি যাঁরা দেখেন এই দুই গোষ্টীর মানুষের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির
তফাৎ থাকে। দুইজনের মন সব সময় মেলে না। যে সব চলচ্চিত্রকার তাঁদের মনকে দর্শকের
মনের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারেন তাঁরাই সেরা চলচ্চিত্রকার হয়ে ওঠেন। বিশ্ব জুড়ে তেমন
পরিচালকের সংখ্যা খুব বেশি নয়। আমাদের দেশেও তাই। বাংলায় তো তাঁদের সংখ্যা সেই
তিনেই আটকে আছে। তাঁরা আজও আমাদের চলচ্চিত্র বোধের জগতে রাজত্ব করছেন।
সিনেমা নিয়ে
যাঁরা ভাবতে ভালবাসেন, তাঁরা কিন্তু বসে নেই। যে হিন্দি ছবির রমরমা আজ সারা ভারত
জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তার পরিক্রমা, বিবর্তন ইত্যাদি নিয়েও অনেকেই গুরু গম্ভীর বই লিখে
চলেছেন। তাঁরা আপাতভাবে বাণিজ্য সর্বস্ব বলিউডি ছবির মধ্যেও ভারতীয় সমাজের ভূত
ভবিষ্যতের সন্ধান করতে পারেন। সেই সব গবেষণা পত্রগুলি বিভিন্ন চলচ্চিত্র
শিক্ষাকেন্দ্রে পাঠ্য হিসেবেও গণ্য হয়। এই গোষ্টীর মানুষের সঙ্গে সিনেমার সাধারণ
দর্শকদের মেলানো যায় না। তারা সিনেমার জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভেসে আনন্দ পেতে আগ্রহী।
সিনেমা তাদের কাছে নিছক বিনোদনের বস্তু। মুক্তি পাওয়ার পর সেটি দেখা, পথে ঘাটে
আলোচনা করে, ছবির গান গেয়ে, সংলাপ বলে, ফুর্তির মুহুর্ত কাটিয়ে সব ভুলে যেতেই তারা
অভ্যস্থ। সিনেমা দেখার ব্যাপারে তাদের কোনও রকম বাছবিচার নেই।
কিন্তু বোদ্ধা
দর্শক যাদের বলা হয়, তারা ছবি দেখতে যাওয়ার আগে বিচার করেন ছবিটি তারা দেখবেন
কিনা, দেখলে কেন দেখবেন ইত্যাদি। এদের সংখ্যা খুব বেশি হয় না। তবে এদের ছবি দেখিয়ে
চলচ্চিত্রকাররা আনন্দ পান। কারণ, এরা হল রসিক, চলচ্চিত্রের রসের সন্ধান এরা
পেয়েছেন। তাই ছবি দেখে এদের ভাল খারাপ যে প্রতিক্রিয়াই হোক না কেন তা একজন
চলচ্চিত্রকারের সাদরে গ্রহণ করতে পারা উচিত। এদের পর আসে সমালোচকদের কথা।
দূর্ভাগ্য এটাই যে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে চলচ্চিত্র সমালোচকরা বিলুপ্ত।
চলচ্চিত্র সমালোচনা করতে গেলেও যে নিজেকে তৈরি করতে হয়, বুঝতে হয় সিনেমা কাকে বলে,
এই বোধটাই আজ আর নেই। তাই যে কেউ, যা খুশি লিখতে পারে কোনও রকম
চলচ্চিত্রবোধ ছাড়াই। কথাটা অন্যান্য শিল্প সমালোচনার ক্ষেত্রেও খাটে। সংগীত,
শিল্পকলা, ভাস্কর্য নৃত্য সব ধরনের শিল্পকর্ম দেখতে বসলে সেই শিল্পকর্মকে ঘিরে
একটা চেতনা বা বোধের দরকার পড়ে। যে যেহেতু সমালোচকদের হাতে কলম থাকে তাই তাদের
লেখা মানুষের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। কোন একটি ছবি ভাল না খারাপ
তা বুঝতে অনেক দর্শকই এদের সমালোচনার ওপর নির্ভর করে। ছবিটির সার্থকতা বা ব্যর্থতা
সঠিকভাবে বিচার না করে সমালোচক যা লিখবে তার ভুল প্রভাব জনমানসে পড়বে ও ছবিটির
ভবিষ্যত ধাক্কা খাবে।
এখানেই মূল
প্রসঙ্গটি এসে পড়ল। যা নিয়ে লিখতে বসেছি। একজন চলচ্চিত্রকার বা যে কোনও শিল্পী ও
তার দর্শক বা শ্রোতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকেন সমালোচকদের দল। এদের দায়িত্ব হল
শিল্পকর্মটির সঠিক মূল্যায়ন দর্শক বা শ্রোতার কাছে আগাম পৌঁছে দেওয়া। দর্শক যখন
ছবি দেখতে আসছেন তখন তাদের কোনও রকম মানসিক প্রস্তুতি থাকে না। শিল্প কর্মকে উপভোগ
করার একটা মন গড়ে দেওয়ার কাজে সমালোচকদের বিরাট ভুমিকা থাকতে পারে। তাই বলে এ কথা
বলার চেষ্টা করছি না যে সমালোচকরা অনুকুল প্রতিক্রিয়াই শুধু দেবেন। ভাল খারাপ যে
কোনও প্রতিক্রিয়াই যুক্তি সঙ্গতভাবে পেশ করতে পারলে একজন দর্শকও সেই বিতর্কে সামিল
হতে পারবে। আর চলচ্চিত্রটির রসকে উপভোগ করতে সে প্রবৃত্ত হবে। সে বুঝতে পারবে তার
ব্যক্তিগতভাবে ছবিটি পছন্দ না হলেও এমন ছবি উপভোগ করারও দর্শক আছে। তাই নিজের পছন্দ
হল না বলে ছবিটিকে যে একেবারে বাতিল বলে ধরে নেওয়া উচিত নয় এই চেতনা দর্শকের মনে
তৈরি হয়ে উঠবে। তাকে তখন বলা যাবে শিক্ষিত দর্শক। কারণ সিনেমা কেবল এক প্রকারেরই
হবে এমন ভাবা ভুল। তাই আজ অবধি বিশ্ব জুড়ে লক্ষ কোটি যত ছবি হয়েছে তার রকম ফেরকে
বোঝা ও স্বীকৃতি দেওয়াটা সভ্য ও শিক্ষিত দর্শকদের কাছে কাম্য।
এবার তাকানো যাক সেই গোষ্টীর দর্শকের দিকে যাদের আমরা গবেষক ও ছাত্র হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। প্রথমে গবেষক। ‘ফিল্ম থিওরিস্ট’ বা চলচ্চিত্র তাত্ত্বিকদের সঙ্গে এদের গুলিয়ে ফেললে চলবে না। তাত্ত্বিকরা
সিনেমার জন্মের প্রথম থেকেই হাতে কলমে সিনেমা না বানিয়ে তাদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে
সিনেমা নামক নতুন একটি শিল্প মাধ্যমকে বুঝতে সাহায্য করেছিল। সেই নির্বাক যুগ থেকে
সবাক যুগ তারপর সাদা কালো ছবির যুগ থেকে রঙিন পর্বে যাত্রা করতে করতে
চলচ্চিত্রকারদের ক্রমশ বুঝে নিতে হয়েছে সিনেমার ভাষাকে। বলা উচিত আবিস্কার করতে
হয়েছে একটি সর্বজন গ্রাহ্য চলচ্চিত্র ভাষাকে। যার মাধ্যমে একটি গল্পকে দর্শকদের
বলবেন তিনি।
একটু খোলসা করে বললে ব্যাপারটা বুঝতে
সুবিধে হবে। ধরা যাক দেখা যাচ্ছে দুটি চরিত্র একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে। পর্দায় কখনো দেখছি
প্রথম জন পর্দার বাঁ পাশে দিকে তাকিয়ে কথা বলছে। পরক্ষনেই দেখছে দ্বিতীয় জন পর্দার
ডান পাশের দিকে তাকিয়ে কথা বলছে। শটগুলি পর পর পর্দায় আসছে যাচ্ছে। আমি দর্শক
হিসেবে কিন্তু বুঝে নিচ্ছি এই দুজন একে অপরের দিকে তাকিয়ে কথা বলছে। অথচ দুজনকে
একই সঙ্গে কখনোই পর্দায় দেখছি না। এই হল চলচ্চিত্রের ভাষার একটি উদাহরন। আমি সেই
ভাষা বুঝি বলেই আমার বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না পর্দায় কি ঘটছে। আজ হয়তো ব্যাপারটা
শুনে তেমন কিছু মনে হবে না। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন পর্দায় অভিনেতার ক্লোজ আপ শট
দেখে দর্শক ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে পালিয়ে বেঁচে ছিল।
চলচ্চিত্রের এই ভাষার সন্ধান করতে
অনেকটা সময় লেগেছিল। কেবল ক্যামেরা চালিয়ে কিছু ছবি তুললেই যে চলচ্চিত্র হয় না তা
বুঝতে পেরেছিলেন আদিকালের চলচ্চিত্রকাররা। সেই সঙ্গে অন্যান্য শিল্প মাধ্যমগুলির
থেকে বিশেষত চিত্রকলার থেকে চলচ্চিত্র কতটা আলাদা আর কেনই বা আলাদা সেটা বুঝে
নেওয়ার দরকার ছিল। প্রথম প্রথম হয় নাটক নয়তো অপেরা বা যাত্রা, সংগীত আলেখ্য বা
মিউজিকাল ইত্যাদির কাঠামোর ওপর নির্ভর করে চলচ্চিত্র তৈরি করার চেষ্টা হত। ক্রমশ
চলচ্চিত্রের নিজস্বতার কথা বলতে শুরু করেছিলেন তাত্ত্বিকরা। সিনেমার এক বা একাধিক
সংজ্ঞা নিরুপন করতে তাঁরা কলম ধরেছিলেন। তাদের ভাবনা পরবর্তীতে প্রভাবিত করেছে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্রকারদের। গড়ে
উঠেছে “সিনেমা” নামের
শিল্প মাধ্যমটি। তৈরি হয়েছে নানা ধরনের চলচ্চিত্র আন্দোলন, যা ইউরোপের কয়েকটি দেশে
শুরু হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল অন্য মহাদেশেও। বাদ যাইনি আমরাও, এই হতচ্ছাড়া শহর কলকাতাতে
বসেও। হলিউডও বাদ যায়নি। যে হলিউডের সিনেমা সংজ্ঞাকে অস্বীকার করতেই এই
আন্দোলনগুলি গড়ে উঠেছিল, তার অভিঘাত ফিরে গিয়ে বদলে দিয়েছিল হলিউডের সিনেমা ভাবনার
ভিত্তিভূমিকে। নতুন এক হলিউড সিনেমার জন্ম হয়েছিল।
তবে যে
তাত্ত্বিকদের কথা বলা হল তাদের থেকে চলচ্চিত্র গবেষকরা আলাদা। তাত্ত্বিকদের অবস্থান
যদি সিনেমা তৈরি আগে হয়ে থাকে তবে গবেষকরা দাড়িয়ে রয়েছেন সিনেমা তৈরির পরবর্তী
ভূমিতে। এদের কাজ হল সিনেমাকে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক দিক থেকে বিচার
বিশ্লেষন করা। একটি সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর সে থাকে বিনোদনের সামগ্রী হিসেবে।
সেটাই তখন তার পরিচয়। তারপর হলগুলি থেকে উঠে গেলে সিনেমাটি লোকচক্ষুর আড়ালে চলে
গেলে তার খোঁজ খুব একটা পড়ে না। যারা সংগ্রাহক তারা হয়তো আজকাল ডিভিডি/সিডি কিনে
বাড়িতে রেখে দেন। কিন্তু আম জনতা, যাদের কথা ভেবেই ছবিটি তৈরি হয়েছিল তাদের আর
আগ্রহ থাকে না ছবিটিকে নিয়ে। কিছু ছবি অবশ্য টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হলে অনেকেই
আবার করে দেখতে বসেন, তবে সে উদ্যোগও শেষ হয়ে গেলে ছবিটির অজ্ঞাতবাস পর্ব শুরু হয়।
এই অজ্ঞাতবাস
পর্বেই ছবিগুলির দর্শক হিসেবে হাজির হন গবেষকরা। তারা বার বার ছবিটিকে দেখে ময়না
তদন্ত শুরু করেন। তারা তখন এমন অনেক কিছু ছবিটির মধ্যে আবিস্কার করেন যা সমালোচক
বা দর্শকরা পারেননি। তখন জনপ্রিয়তার ঝোড়ো বাতাস থেকে দূরে, শান্ত অ্যাকাডেমিক
পরিবেশে গবেষকদের চোখের সামনে ছবিটি তার অন্য এক রূপ নিয়ে উপস্থিত হয়। এই কাজ চলে
লোকচক্ষুর আড়ালে বিশ্বের নামী দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনা ঘরের আনাচে কানাচে। বলা
যায় এখানেই একটি ছবির চিরকালীন পরিচিতি লেখা হয়ে যায়।
এই পরিচিতির
পরিচয়ই টেনে আনে ছাত্রদের। চলচ্চিত্রের পাঠ নিতে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আসে
চলচ্চিত্র কী ও কাকে বলে সেটা বুঝতে তারা ছবিগুলিকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে ফেলে
দেখতে শেখে। ক্রমশ তাদের মধ্যে চলচ্চিত্রবোধের জন্ম হয়। ভবিষ্যতে
এরাই হয়ে ওঠে গবেষক, তাত্ত্বিক, বোদ্ধা দর্শক অথবা নির্মাতা। চলচ্চিত্র শিল্প
মাধ্যমটির উন্নতি বা উন্নয়ণের দিক থেকে তাই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গুরুত্ব
অপরিসীম। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন পারে আগামী দিনে সচেতন দর্শক, গবেষক,
তাত্ত্বিক তৈরি করতে তেমনি শক্তিশালী চলচ্চিত্রকার তৈরি করতেও পারে আবার নাও পারে।
শিল্প শিক্ষা কতটা বাস্তব সম্মত তা নিয়ে শিক্ষামহলে তর্ক আছে।
এতক্ষণ যে
বিভিন্ন ধরনের দর্শকদের নিয়ে আলোচনা হল, তার উদ্দেশ্য শিল্প হিসেবে সিনেমাকে বেঁচে
থাকতে হলে তার নিজস্ব রসিকদের প্রয়োজন আছে। যেমন সংগীত রসিক, কলা রসিক, সাহিত্য
রসিক তেমনি চলচ্চিত্র রসিকদের আজ খুবই দরকার সিনেমা নামক মাধ্যমটির। বাণিজ্যের
নামে আজ সিনেমা তার অস্তিত্ত্ব হারাতে বসেছে। তাকে আবার তার নিজস্ব গতিপথে ফিরিয়ে
আনতে পারে সিনেমার সচেতন দর্শকরা। যারা বিশ্ব সিনেমার আকাশের দিকে তাকিয়ে অজস্র
নক্ষত্রের মতো জ্বলতে থাকা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সময়ের সিনেমার হদিশ রাখতে
শিখবেন। নক্ষত্রের মতোই সেই সব সিনেমার জন্ম মৃত্যুর কাল পরিমাপ করতে পারবেন।
আকাশের কোনও এক কোনে কোনও উজ্জ্বল নক্ষত্রের আবির্ভাব ঘটলে তাকে যাচাই করে নিয়ে
তার সঠিক মূল্যায়নে ব্রতী হবেন। তবেই সিনেমা নামক শিল্প মাধ্যমটি ঋদ্ধ হয়ে উঠবে।
অন্য শিল্প মাধ্যমগুলির তুলনায় সিনেমা এখনও তার শৈশবকালেই বিচরণ করছে। তাই তার সময়
আছে যথেষ্ঠ।